কাঁঠালগাছের আবাদ নিয়ে কিছু কথা

কাঁঠালগাছের আবাদ নিয়ে কিছু কথা

ড. মোহাম্মদ আতাউর রহমান
কোঅর্ডিনেটর, এ্যাডুকেশন ফর সাসটেইনাবিলিটি
সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়বরনমেন্টাল কালচার
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজী, উত্তরা, ঢাকা
Email:ar_forest@yahoo.com
marahman@iubat.edu

এবার বাংলাদেশে কাঁঠালের ফলন বেশ ভাল হয়েছে। বিশেষ করে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল, দিনাজপুর ভাওয়াল ও মধুপুর, সিলেট ও পার্বত্য-চট্রগ্রাম অঞ্চলের উচু এবং পাহাড়ী এলাকা থেকে ঢাকা সহ অন্যান্য শহর-বন্দরে প্রতিদিন শত শত ট্রাক কাঁঠাল বাজারজাত হয়েছে। জাতীয় ফল কাঁঠালে রয়েছে মোহনীয় গন্ধ ও মিষ্টি ¯^াদ। কচি কাঁঠাল ও কাঁঠালবীচির তরকারী সবারই প্রিয় খাদ্য। তাছাড়া কাঁঠালের রস ও পাল্প পিঠা খই ও মুড়ির সঙ্গে মজা করে উপভোগ করে সবাই। শুধু কি তাই, কাঁঠালের মচি বরই কিংবা তেঁতুলের সাথে ভর্তা করে খাওয়া খুবই তৃপ্তিকর। পাকা কাঁঠালের খোসা ও মোঁচা গরু-ছাগলের প্রিয় খাবার। দুধালো গাভী কাঁঠালের অবশিষ্ঠাংশ আহার করে অধিক দুধ দিয়ে থাকে।

কাঁঠালের ব্যবহারের কথা হিসাব করলে গড়পড়তা একটি ছোট কাঁঠাল একজন মানুষের একদিনের পুষ্টিদানে যথেষ্ট। সর্বোপরি কাঁঠালকাঠ একটি মূল্যবান সম্পদ। এতদাঞ্চলের মানুষেরা অতি প্রাচীনকাল থেকেই আসবাবপত্র, কারূশিল্পে বিলাস ও ঐতিহ্যের ধারক হিসাবে কাঁঠালকাঠ ব্যবহার করে এসেছে।
বল্ইা বাহুল্য, কাঁঠাল এদেশের জাতীয়ফল, কিš‘ খুবই পরিতাপের বিষয় এ পর্যন্ত দেশে কোন গবেষনা কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। হয়তো জাতীয়ফলের ¯^ীকৃতিই কাঁঠালকে সবার উর্দ্ধে তুলে রেখেছে। তাছাড়া ডাক ও প্রবাদ বচনে কাঁঠালের রয়েছে অনেক খ্যাতি। এর নামের ওপর ভর করে এখনও কাঁঠাল বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে তৃপ্তি দিয়ে আসছে। সারা বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশে কাঁঠালের আবাদ হ”েছ।
অনেক গুন সম্পন্ন ব্যাপক ব্যবহারের এই কাঁঠালকে নিয়ে কিছু ভাবনা চিš—া করা এক্šা—ই আবাশ্্যক বলে আমি মনে করি। আজ সারাদেশের খাদ্য সংকটে কাঁঠালই দুই-তিন মাসের খাবারের যোগান দিতে পারে। একটু বাস্তবমুখী চিন্তা করলে দেখা যায়, মাত্র ত্রিশ থেকে চল্লিশ কোটি কাঁঠাল গাছ দ্বারাই এ বাস্তবতা অর্জন সম্ভব। মাথাপিছু ৩ টি গাছ রোপন করা তেমন কোন কঠিন কাজই নয়। বরং দেশের অব্যবহৃত ল¶ ল¶ একর পাহাড়ী ও উঁচু ভূমি, গৃহ¯’ালী আঙিনা ও বড় রাস্তার ধারে কাঁঠালের পরিকল্পিত আবাদ বিশাল সম্পদ সৃষ্টিতে সহায়ক হতে পারে। আমাদের একটু সদি”ছাই এ ল¶্য অর্জনে যথেষ্ট।
আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে সারা দেশে মেহগনির গাছের সংখ্যা ছিল খুবই নগন্য । হাতে গোনা কয়েকটা জমিদার বাড়ী এবং যশোরের ট্রাঙ্ক রোড ছাড়া অন্যত্র ছিলনা বললেই চলে। কিš‘ আজ সরকারী বেসরকারী ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেহগনি গাছের সংখ্যা যে কত কোটি তা সহজেই আন্দাজ করা যায়। দেশের বর্তমান কাষ্ঠসম্পদের ¶েত্রে মেহগনি উলে­খযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এই মেহগনি চাষের পিছনে যে বিষয়গুলো কাজ করছে তা হলো সহজে বীজ প্রাপ্তি, চারা উাত্তোলন ও লালন করার সাথে কাঠের চাহিদা ও মূল্যমান। এ মেহগনি সাধারনত গরুছাগলে খায় না, তাই র¶নাবে¶নে খুব একটা বেগ পেতে হয় না।
অনেকেই হয়তো অবগত নন যে, মেহগনি কাঠের চেয়ে কাঁঠালকাঠের ¯’ায়িত্ব ও চাহিদা অনেক বেশী। তবে কেন কাঁঠালের প্রতি এত অবহেলা? এমনকি অধিকাংশ কাঁঠাল উৎপাদনকারী অঞ্চল ও ¯’ানেও কাঁঠালের পরিবর্তে মেহেগনি রোপন করা এক নতুন সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতপ¶ে বনাঞ্চলে কাঠ উৎপাদনে চরম ব্যর্থতা পরিল¶িত হ”েছ এর ফলে তথাকথিত সামাজিক ও কৃষি-বনজ গাছ যথা: মেহগনি, রেইনট্রি, একাশিয়া, ইঊক্যালিপ্টাস ও শিশু ইত্যাদি গাছ সহজে লাগিয়ে ¯^ল্প পরিশ্রমে ও র¶ানাবে¶ন ও উৎপাদন করে সুনাম অর্জন।। এমনকি রেডিও, টেলিভিশন ও অন্যান্য প্রচারমাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে বাড়ীর আঙ্গিনা ও ফসলি জমিতেও এসব অপরিনামদর্শী গাছের আবাদ শুরু হয়েছে। এই সস্তা সুনাম অর্জনের বিপরীতে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার অপচয় করা হয়েছে। এদেশের সরল সহজ ও কোমলমতি মানুষের সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হ”েছ, কেবল তাই নয়, ঝগড়া ফ্যাসাদেরও বীজ বুনে দেয়া হয়েছে ফলে গ্রামীন সংস্কৃতি ধ্বংস করা হ”েছ বলে অনেকেরই ধারণা।

কাঁঠালগাছের কান্ডপচা রোগ:
আমাদের ভুলের কারণে কাঠালের মত জাতীয়ফল গাছে কান্ডপচা রোগ মহমারী আকারে দেখা দিয়েছে। বাহিরাগত একাশিয়া, ম্যানজিয়াম, মেহগনি ও ইউক্যালিপটাস রোপিত অঞ্চলেই এ রোগের প্রকোপ বেশী হ”েছ। ধারণা করা যায়, এসব বহিরাগত গাছ থেকেই কাঁঠাল গাছে এরোগ ছড়া”েছ। এক জাতীয় পোকাবাহিত রোগ কাঁঠাল গাছের বাকলে পচন সৃষ্টি করে ক্রমশ্য কান্ডে ছড়ায়। কাঁঠাল ফলে গাছ পচে দুর্বল হয়ে ফল উৎপাদন হ্রাস পায় । এই কান্ডপচা রোগে কাঁঠালের মত মহামূল্যবান কাঠ অবিরাম ধংস হয়ে যা”েছ। খুবই দুঃখের বিষয়, এই দুরাব¯’া প্রতিকারের জন্য সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কোন ধরণের ব্যব¯’া নজরে পরেনা। কাঁঠালের এ কান্ডপচা রোগের পরিবেশগত কারণ শীঘ্রই খুঁজে বের করতে হবে এবং ব্যব¯’া গ্রহন করতে হবে। তা না হলে কাঁঠালের ফল ও কাঠ ধ্বংস হয়ে যাবার আশংখ্যা রয়েছে।
কাঁঠালের পুষ্টিগুন সম্পর্কে পত্র-পত্রিকায় লেখা-লেখি হলেও এর পরিচর্যা ও উৎপাদনের পারিপার্শ্বিক অব¯’ান ও বৈশিষ্ট সম্বন্ধে তেমন কোন প্রচার সচরাচর চোখে পড়েনা। এ ব্যাপারে আমাদের এখনই আরো সচেতন হওয়া ্একাš— অবশ্যক।
বহু বর্ষজীবী কাঁঠাল গাছ মূলত উঁচু ভূমিতেই দ্রুত বেড়ে উঠে এবং ৪/৫ বৎসরের মধ্যেই ফল দেয়। কাঁঠালগাছ জলমগ্নতা একবারেই পছন্দ করেনা। গাছেল শিকড় বেশী গভীরে না পৌছলেও পার্শ্বীয় বিন্যাস খুবই প্রসারিত। প্লায়োষ্টোসিন যুগের লালমাটি চত্তর, টেক-টিলা ও ছোট পাহাড়ে কাঁঠালের আবাদ এবং ফলন বেশী। তাছাড়া বসতবাড়ীর আঙিনায় ও চওড়া রাস্তার ধারে কাঁঠাল গাছ লাগানো হয়ে থাকে। বীজ থেকে সরাসরি উৎপন্ন গাছে তিন/চার বছরে কাঁঠাল ধরে। সাধারণত কাঁঠাল গাছ ৩/৪ মিটার বা ১০/১২ ফুট লম্বা সোজা কান্ড তৈরীর জন্য খুব কচি গাছের কুঁড়ি ডাল ছাটায়ে দেওয়া দরকার।
দ্রুত বাড়ানোর জন্য অনেক সময় কাঁঠালের গাছের মসৃন বাকল লম্বা-লম্বিভাবে ধারালো দাঁ/ ছুরি দিয়ে ক্যামবিয়াম পর্যন্ত ফেড়ে দেয়া হয়। যার ফলে সেকেন্ডারী ক্যামবিয়াম কার্যকরী হয়ে গাছের পার্শ্ব বৃদ্ধি ও ফল উৎপাদন ত্বরাšি^ত করে।
কাঁঠাল চারা স্থানান্তরে মূল শিকড় যাতে অ¶ত থাকে তার প্রতি ল¶্য রাখা দরকার। মূল-শিকড় ছিড়ে অথবা কাটা গেলে গাছ দূর্বল হয়; বৃদ্ধি ও ফলন কম হয়। প্রতিবছর ভাদ্রমাসে পুর্ববর্তী বছরের গজানো ফলধারক ও অন্যান্য পার্শ্বীয় নতুন শাখা ধারালো ছুড়ি/দাঁ দিয়ে কান্ডলগ্ন ¯’ানে ছেটে দেয়া আবশ্যক। ফলে কান্ডে আলো-বাতাস লাগবে এবং সেকেন্ডারী ক্যামবিয়াম পুনঃ কার্যকরী হয়ে অধিক ফল দেয়।
প্রাচীন প্রবাদেও এই কাঁঠাল গাছের কলম বিষয়ে এই পদ্ধতির উলে­খ আছে। খুবই বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি।
কাঁঠাল গাছের ন্যুনতম দূরত্ব ৬ থেকে ৭ মিটার বা ২০ থেকে ২৫ ফুট হওয়া দরকার। দুরত্ব কম হলে গাছের ¯^াভাবিক বৃদ্ধি ও ফলন খুবই কম হয়। কাঁঠাল গাছের গোড়ায় নতুন মাটি দেয়া, অবর্জনা ও কম্পোষ্ট দেয়া মোটেই উচিত নয়। মাটি আবর্জনা ও কম্পোষ্ট প্রয়োগে উন্মোক্ত শিকড় ¶তিগ্র¯’ হয় এবং প্রায়ই গাছ মরে যায়।
কাঁঠাল বাগানে আদা, হলুদ, ওলকচু, মুখীকচু ও মরিচ ইত্যাদি চাষ খুবই লাভজনক। তাছাড়া প্রথম ভাগে ৬ থেকে ৭ বৎসর পেয়ারা ও আনারস সাথীফসল হিসাবে বানিজ্যিক চাষ করা চলে। মিশ্র-সাথী ফসল যেমন পান ও গোলমরিচের চাষ বেশ লাভজনক। উল্লেখ্য, আরোহীজাতের সাথীগাছ সমূহ কাঁঠাল গাছের গোড়া থেকে প্রায় ০.৫ মিটার (দেড়ফুট) দুরে লাগানো উচিত।

একটি কাঁঠাল গাছ থেকে বছরে গড়পড়তা ৩০ থেকে ৪০ টি কাঁঠাল ধরে থাকে। অনায়াসে ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত সা”ছন্দে কাঁঠাল ধরে থাকে। এর পরে ১৫ থেকে ২০ ঘনফুট মুল্যবান কাঠ ও সমপরিমান জ্বালানি কাঠ পাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে কাঁঠালকাঠের মূল্য প্রতি ঘনফুট এক হাজার টাকারও বেশী। অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্লেষন করলে ১টি কাঁঠাল গাছের ৩০ বৎসর জীবন কালে যে আয় দাঁড়ায় তা মোটামুটি নিম্নরূপ:

১. কাঁঠাল ফল: ৩০টি *২৫ বৎসর = ৭৫০ টি
প্রতিটি ৩০ টাকা করে ৭৫০* ৩০ টাকা = ২২,৫০০.০০ টাকা
২. কাঁঠালকাঠ: ২০ ঘনফুট *১০০০ টাকা = ২০,০০০.০০ টাকা
৩. জ্বালানি কাঠ: ৬০ স্ট্যাক ঘনফুট *২০ টাকা = ১,২০০.০০ টাকা
মোট আয় = ৪৩,৭০০.০০ টাকা
গ্রীন-বায়োম্যাস উৎপাদন:
১. ঝরা পাতা: ৫০ কেজি/বৎসর *৩০ বৎসর = ১,৫০০ কেজি
২. কাঠাল ৩০ টি * প্রতিটি ৫ কেজি *২৫ বৎসর = ৩,৭৫০ কেজি
৩. কাঠ, শিকড় ও শাখা-প্রশাখা ৬০ ঘনফুট *৫০ কেজি = ৩,০০০ কেজি
মোট = ৮,২৫০ কেজি

উপরোক্ত বিষয়গুলো বিশ্লেষন করলে এটাই প্রমানিত হয় যে, কাঁঠালের বহুবিধ ব্যবহার আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত । সাধারন চোখে বিষয়টি বোধগম্য না হলেও এর অবদান এ অঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদাপুরণে উৎ¯^র্গিত। তাই কারো কোন প্ররাচনায় বিপথগামী না হয়ে যেখানে সেখানে বহিরাগত গাছ না রোপন করে, কাঁঠাল চাষে আগ্রহ ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। বিশেষত: বাড়ির আঙিনা ও পারিপার্শিক রা¯—ার ধারে আরও বেশী কাঁঠালের আবাদ করা উচিত। কাঁঠাল গাছের ¶তিকর কতিপয় প্রাণী যেমন ছাগল, ভেড়া, কাঠবিড়ালী ও খরগোস ইত্যদি ডালপালা ও কান্ড নষ্ট করে থাকে। আর শিয়াল, কাঠবিড়ালী ও বাদুর সাধারণত গাছ ও ফলের ¶তি করে থাকে। এ সামান্য বিপত্তি দূর করে পারস্পারিক সহযোগিতায় সম্পদের সংর¶নে ও শ্রদ্ধাবোধ প্রর্দশন করে সহজেই এসব বিপদ থেকে কাঁঠাল গাছ র¶া করা সম্বব।

যুগে যুগে আমরা বিভিন্ন দুর্যোগের সময়ে নিজেদের প্রতিরোধী শক্তিতে পরিনত করে বিজয়ী হয়েছি। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বিশেষ করে গ্রামীন সাধারণ মানুষের মাঝে খুবই দৃঢ়। ¯^ল্পমেয়াদী ¯^ার্থের উর্দ্ধে সার্বিক এবং দীর্ঘমেয়াদী সার্থর¶ার তাগিদে আমাদের আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। অপরের জমির উপরে ছায়া দিয়ে গাছ লাগিয়ে এবং ছাগল দ্বারা অন্যের ¶তি করা এক বিশেষ অপরাধ। আমাদের সমাজে পরের ¶তিকে পাপ হিসাবেই গন্য করতে হয়। সেই দৃষ্টি কোন থেকে আইনের দ্বারাও শাস্তির ব্যব¯’া নিতে হবে। বর্তমান অব¯’ায় রোপিত গাছ র¶ানাবে¶নে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া বলবৎ রাখা একান্ত দরকার।

বর্তমানে দেশে কত প্রকারের কাঁঠাল আছে তার কোনই সমী¶া নেই। ফলে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের মাধ্যমে শীঘ্রই বিভিন্ন অঞ্চলের জাতসমূহ চিহ্নিত করে নমুনা সংগ্রহ করে জার্মব্যাংক বা জাত সংর¶নাগার ¯’াপন করা অতিব জরুরী। সাধারনত: কাঁঠাল উৎপাদন মৌসুমে যে সব এলাকায় কাঁঠাল বেশী ফলে সেসব এলাকায় কাঁঠাল অন্যান্য ফল যেমন আনারস, লেবু ও পেয়ারা প্রভৃতি সংর¶নের জন্য হিমাগার তৈরী ও প্রসেসিং প্লান্ট ¯’াপন করে আবাদকারীর ফসলের প্রকৃতমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং প্রকৃয়াজাত করে এ দ্রুত পচনশীল ফলসমূহকে র¶া করার ব্যব¯’া গ্রহন করা আবশ্যক। এই ব্যব¯’া গ্রহনের মাধ্যমে কর্মসং¯’ান এবং বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের ¶েত্র প্রসারিত হবে বলে পর্যাবে¶কগন মত পোষন করেন।

পরিশেষে দেশের সচেতন মানুষের কাছে এটাই কাম্য যে, যাহা সুন্দর, কল্যানকর ও মানবতার সেবায় উৎ¯^র্গীকৃত জেনে-শুনে তার বিরোধিতা না করে সার্বিক কল্যানে আরও নিবিড়ভাবে চিন্তা করা উচিত। তাই বর্তমান সময়ে কাঁঠালের মহাসংকটকালে আসুন আমরা সবাই জাতীয়ফল কাঁঠালকে র¶া করি এবং সম্মৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাই। তার সাথে কাঁঠালসহ অন্যান্য দেশীয় ফলজ বৃ¶ের উৎপাদন বাড়ানো ও তাদের সংর¶নের সংস্কৃতি জোরদার করার ¶েত্রে সবাই মনযোগী হই।

The following two tabs change content below.
Director, CGEC International University of Business Agriculture and Technology Bangladesh